ভুল ও ক্ষমা
ওয়াহিদ জামান


ভুল করে শয়তানে
ক্ষমা নাহি চায়,
যুক্তি দেখিয়ে সে
মহা শাস্তি পায়।

মানুষের ভুল হলে
ক্ষমার কথা কয়,
যুক্তি দিলে পরে
শয়তান হতে হয়।

আমার ভুলের দেখি
নাহি সীমানা,
ক্ষমা চাই বারে-বার
তবু থামে না।

ক্ষমাশীল আল্লাহগো
মাফ করো আমায়,
দেখিয়ে দিও ভয়
খারাপের বেলায়।
পুরস্কার
ওয়াহিদ জামান


ভালো কাজের স্বীকৃতিতে
দেয় পুরস্কার,
মন্দ কাজের পরিণামে
হয় বহিষ্কার।

পুরস্কারে উৎসাহিত
হন গুণীজন,
তিরষ্কারে হবে তুমি
বিরাগভাজন।

ভালো কাজের মূল্যায়নে
করোনা ডর,
সফলতায় ভরবে তোমার
শুন্য ঐ ঘর।

পুরস্কারে রাসুল আমার
দিতেন জান্নাত,
এখন তিনি থাকলে পরে
হত বাজিমাত।

মার্জনা
ওয়াহিদ জামান



জ্ঞানার্জন,
সবার আগে, করতে ভ্রান্তি বর্জন।

পরিষ্কার,
সকল সময়, নইলে যে বহিষ্কার।

সূক্ষ্মতা,
ভূষণ আমার, বাড়াতে দক্ষতা।

মিথ্যাচার,
নাইযে আপোষ, হোকনা বড় নেতার।

দূর্নীতি,
লড়বো একাই, নাই কোন মিনতি।

সাহায্য,
আল্লাহ আছেন, দিবেন আমায় ন্যায্য।

মার্জনা,
করো আমায়, একটুও ভুলোনা।
ছয় ঋতু
ওয়াহিদ জামান


দু’মাস পর পর ঋতু বদলায়,
তাইতো ছয় ঋতু এই বাংলায়।
বৈশাখ জৈষ্ঠ্যে গ্রীষ্ম আসে,
কাঠফাটা রোদ চারিপাশে।
আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষা দিনে,
টাপুর টুপুর চালের টিনে।
ভাদ্র আশ্বিন শরৎ কালে,
সাদা মেঘ আর কাশফুল দোলে।
কার্তিক অঘ্রাণ মাস এলে তাই,
হেমন্ত ধানে নাই ঠাঁই নাই।
পৌষ মাঘ শীতকাল ঠাণ্ডায় ভরা,
ধরা তখন জ্বরা-মরা।
ফাল্গুন চৈত্রে হয় বসন্ত,
সবুজ ভরা দিক দিগন্ত।
মুগ্ধতার যে নাই কোন শেষ,
হরেক রূপের এই বাংলাদেশ।


হ্যাঁ বন্ধু এবং হায়রে বন্ধু

যারা বন্ধুর উপকারে নিজেদের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়েও সন্তুষ্ট থাকে তাদের কে বলতে হয, হ্যাঁ বন্ধু তোমরা বিজয়ী হয়েছ আরো অনেক বিজয় অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য তোমাদের মানষিকতা তোমাদের পৌঁছে দিবে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে অপরের উপকারে মানষিক যে তৃপ্তি......... তা লিখে শেষ করা যাবেনা কোন দিন অনুভব করছো তো?
আর যারা বন্ধুর বিপদেও নিজেদের সামান্য স্বার্থকে বিসর্জন দিতে পারোনি তাদের কে বলতে হয়, হায়রে বন্ধু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না তোমাদের বিপদে কী কোন বন্ধু এগিয়ে আসেনি? হয়তো বলবেআমি কোনদিন বিপদে- পড়িনি তবে সামনে বিপদ যে আসবে না, সে গ্যারান্টি কী দিতে পারবে? যাক সে কথা তারপরও বলবো ফিরে আসো বন্ধু আগের মতো করে অশ্রু টলমল আখি আর এক চিলতে হাসিতে বরণ করে নিব তোমায়
মুনাফেকী
ওয়াহিদ জামান


সরল ভাবে মিথ্যা বলে
সাধু সাজার ভান,
মুনাফেকীর লক্ষণ এটা
কপটতার টান।

ওয়াদা করে যখন তখন
কথার অনেক দাম,
মুনাফেকী থাকলে পরে
ভঙ্গ করাই কাম।

আমানতে মুনাফেকী
খেয়ানত করে,
অবশেষে অপমানে
শাস্তিতে মরে।


বাহিরেতে আল্লাহ আল্লাহ
মন হরে হরে,
মুনাফেক-এ ভরেছে দেশ
শান্তি নাই ঘরে।
শীতকাল
ওয়াহিদ জামান


কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় ভোর,
চোখ থেকে কাটেনা ঘুমেরই ঘোর।
ঘাসের ডগায় থাকে শিশিরের দল,
কচুর পাতায় দেখ পানি টলমল।
মিষ্টি মিষ্টি রোদে সূর্যের উঁকি,
দাদার সাথে ঐ খোকা আর খুকি।
আলসেমি ভর করে পুকুরপাড়ে,
আগে ডুব দিয়ে কেউ জাড়টা ঝাড়ে।
সন্ধ্যায় বাড়ি বাড়ি হরেক পিঠা,
মায়ের হাতে তৈরি, কতই মিঠা!
গাছগুলো হয়ে যায় উদোম ন্যাড়া,
অতিথি পাখিরা জাগায় পাড়া।
সবজিতে ভরে ঐ ফসলের মাঠ,
এই হলো শীতকালের রূপেরই পাঠ।
দেশপ্রেম
ওয়াহিদ জামান

দেশকে ভালোবাসি সবাই
সত্যি ভালোবাসি,
দেশের মানুষ থাকুক সুখে
ফুটুক মুখে হাসি।

দেশের প্রতি ভালোবাসা
ঈমানেরই অঙ্গ,
তাইতো আমি চাইযে সদা
দেশপ্রেমিক সঙ্গ।

দেশের মাটি দেশের বাতাস
দেশের আলোতে,
ভালোবাসা অব্যাহত
আপন গতিতে।

দেশের তরে দিতে পারি
জীবন বিলিয়ে,
দেশপ্রেমটা আমার মনে
আছে ছড়িয়ে।

ভালোবাসা
অনেক ভালোবাসা
অকৃত্রিম ভালোবাসা
অফুরন্ত ভালোবাসা
ধন্যবাদসবাইকে সকাল থেকেঅনেকেই ফোন দিয়েছেনকেউ কেউ তোফোন দিয়ে কেঁদেফেলেছেন কারো হাত-পাকেঁপে উঠেছে, কারোবাঅন্তর আর কেউকেউ তো রাগেইচ্ছে মতো গালিদিয়েছে গালিগুলো দেখেঅনেক আগের একটাঘটনা মনে পড়ছে২০০৬ কিংবা ২০০৭,বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানেরক্রিকেট খেলা আমরাপাশের এক বাসায়টিভিতে খেলা দেখতেগেছি সবাই বাংলাদেশেরসাপোর্টার একজন ছাড়াসুতরাং তার উপরক্ষেপে আছে সবাইএক পর্যায়ে আমিতাকে জিজ্ঞেস করলাম- তুই ক্যান পাকিস্তানসাপোর্ট করলি? সেঅভিমানের সুরে জানালো- বাংলাদেশকে সাপোর্ট করলেতো বাংলাদেশ জিতেনা, তাই পাকিস্তানকে সাপোর্টকরছি যাতে বাংলাদেশজিতে তখন বুঝলাম- তার ভালোবাসা আমাদেরমতো সস্তা নাসে শুধু ভালোবাসেনা, জিতানোর জন্য চিন্তাওকরেআজকের এই গালিগুলো তেমনি ভালোবাসাপূর্ণ। আরেক বার ধন্যবাদ তাদের জন্য। আগে বুঝিনি এত মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তাও এতটা?
সে যাইহোক, মরতে কিন্তু হবেই। হয় আজ না হয় কাল। হয়তো একসিডেন্টে নয়তো রোগেভূগে, কিংবা বয়সের ভারে নূয়ে নূয়ে। কিন্তু আমি এ ধরণের কোন মৃত্যু চাই না। চাই- শাহাদাত। তবে জান্নাতের লোভে বা সওয়াবের ধান্দায় নয়, আল্লাহকে ভালোবেসে। দোয়া করবেন সবাই।
কালাম ভাই
ওয়াহিদ জামান


এক পা আগে থাকে এক পা পরে,
হাটুটা ভাঁজ করে রুকুটা সারে।
ছোট-বড় মিশিয়ে কেরাতটা ধরে,
স্বাভাবিকের চেয়ে একটুখানি জোরে।
রাত তার যায় কেটে স্টাডি রুমে,
সকালটা পার করে শুধু ঘুমে ঘুমে।
আমায় পেলে দেখায় সিংহের সাহস,
অন্যকে বলে না কিছু হয় যদি নাখোশ।
তোমরা কি জানতে চাও কে সেই জন,
কালাম ভাই বলে ডাকে আমায় এই মন।
বিজয় একাত্তর
ওয়াহিদ জামান


অস্ত্র রেখে জনে জনে
পাকসেনাদের সমর্পণে
ষোলই ডিসেম্বর প্রহরে
বিজয় এলো একাত্তরে।

আকাশ জুড়ে বিজয় নিশান
কুলি, মজুর কিংবা কিষাণ
মিছিল করে মুক্তিসেনা
জীবন দিয়ে দেশটা কেনা
লাখ শহীদের রক্তক্ষয়ে
আমরা এলাম স্বাধীন হয়ে।

সেই বিজয়কে স্মরণ করে
স্মৃতিসৌধ ফুলে ভরে।


কুরবানি দে
ওয়াহিদ জামান



আত্নত্যাগের দীক্ষা নিয়ে

এলো যে আযহা,

কুরবানি দে ভুলে গিয়ে

সকল অনীহা।



কুরবানিতো ইব্রাহিমের

পরীক্ষার ফসল,

কুরবানি দে হতে চাইলে

জীবনে সফল।



কুরবানিতে আছেরে ভাই

খোদায়ী সন্তোষ,

কুরবানি দে বিধান মতো

করিস নারে দোষ।

ফেসবুকে অগ্নিগিরি

সংবাদপত্র

পত্রিকার কলামসমূহ

বাংলা সাময়িকী

রবীন্দ্র রচনাবলী

নজরুল রচনাবলী

টেলিভিশন

জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সমূহ

অনলাইন রেডিও