সেই ঈদ এই ঈদ : সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি

ওয়াহিদ জামান

‘প্রত্যেক জাতিরই আনন্দ উৎসব আছে, আর আমাদের আনন্দ উৎসব হলো দুই ঈদ।’ বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ স.-এর এমন ঘোষণার মাধ্যমেই দ্বিতীয় হিজরীতে ঈদ উৎসবের গোড়াপত্তন হয়। সেই ঈদ এখন বিশ্বের সবচেয়ে শুদ্ধতম আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছে। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। প্রতি বছর দুই বার এই আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকে গোটা মুসলিম বিশ্ব। ঈদুল ফিতর পালন করা হয় শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে। পবিত্র রমযান মাসের পরিসমাপ্তির পর পশ্চিম আকাশে যখন ঈদের বাঁকা চাঁদ ভেসে ওঠে তখন ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মুসলিমদের হৃদয়ে ঈদের আনন্দ দোলা দেয়। এ যেন নতুন কিছু প্রাপ্তির মহা আনন্দ। প্রকৃতপক্ষে রমযানের কঠোর সাধনা, ইবাদত-বন্দেগী ও রোযার প্রতিদান স্বরূপ মহা পুরস্কার ঘোষণার দিন হচ্ছে এ আনন্দময় দিন। আর জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে পালিত হয় ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহ তা’লা হযরত ইব্রাহিম আ.-কে অসংখ্যবার পরীক্ষা করেছিলেন। একবার তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইল আ.-কে কুরবানী করার জন্য স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হন। তিনি যখন ইসমাইলকে কুরবানী করছিলেন তখন ফেরেশতা মারফত তাকে সরিয়ে দুম্বা কুরবানী করানো হয়। সেই স্মৃতিকে ধারণ করে এ দিনে ঈদুল আযহা তথা কুরবানীর ঈদ পালন করা হয়।
ঈদস্মৃতি
ওয়াহিদ জামান


ঈদের ঢাকা, ফাঁকা ফাঁকা
একলা শুয়ে আছি,
কল্পনাতে জল্পনাতে
অতীত চলে গ্যাছি।

সকাল হতে ঈদগাহেতে
থাকতো অনেক কাজ,
ফুল টানানো, রং লাগানো
হরেক রকম সাজ।

পুকুর জুড়ে ভেলায় চড়ে
গোসল করতো সবে,
মুরুব্বিরা বলতো এসে
মাঠে যাবে কবে?

নামাজ শেষে বাবা যেতেন
দাদার কবর পাশে,
আমি যেতাম সাথে সাথে
কবর দেখার আশে।

দু’হাত তুলে খোদার কাছে
কাঁদেন যারে যার,
বাজানরে মোর ক্ষমা করো
মাফ চাই বারে বার।

তারপর হতো বাড়ী বাড়ী
দিনভর খাওয়া-দাওয়া,
বিকাল হলেই মায়ের সাথে
নানার বাড়ী যাওয়া।

এখন যে আর সেই আনন্দ
পাইনা খুঁজে আমি,
আমার অতীত দাও ফিরিয়ে
ওগো অন্তর্যামী।

ফেসবুকে অগ্নিগিরি

সংবাদপত্র

পত্রিকার কলামসমূহ

বাংলা সাময়িকী

রবীন্দ্র রচনাবলী

নজরুল রচনাবলী

টেলিভিশন

জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সমূহ

অনলাইন রেডিও